শেখ রাজীব হাসান,গাজীপুর
টঙ্গীর মুক্তারবাড়ী এক্সিলেন্ড রোড এলাকায় ২০১৭ সালের ১৩ই অক্টোবর সন্ত্রাসীরা নির্মম ভাবে হত্যা হয়েছিলো সৈকত হোসেন শাওন (২৪)। হঠাৎ করেই যেন থমকে যাচ্ছে সৈকত হত্যা মামলার অগ্রগতি। ৩বছর পেরিয়ে গেলেও উদঘাটন হয়নি সৈকত হত্যার রহস্য। এই মামলায় এই রিপোর্ট লিখা অবধি মোঃ সুমন (ছোট সুমন), বাবু (বুক কাটা বাবু), মাসুদ (পুড়ি মাসুদ) ও ডিস সুমনকে পুলিশ নানা স্থান থেকে গ্রেফতার করলেও এই পর্যন্ত হত্যাকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত মূল আসামী রিয়াজ আহম্মেদ আকাশ, নাহিদসহ অন্যান্যরা থানা এলাকার বীর লয়ে ঘুরে বেড়ালেও তাদের ধরতে বিলম্ব করেছে প্রসাশন।
নিহত সৈকত হোসেন শাওন (২৪) মোঃ কবির হোসেন ও প্রবাসী মোছাম্মত সেলিনা বেগম এর ছেলে। বাবা মায়ের বি”েছদের কারনে সৈকত ছোটবেলা থেকেই টঙ্গীর উত্তর দত্তপাড়া টেকবাড়ি এলাকায় তার নানা শেখ মোঃ আঃ রাজ্জাক এর বাড়ীতে থাকতো।
পরিবার, এলাকাবাসী ও ঘটনা¯’ল সুত্রে জানা যায়, সৈকত হোসেনকে বাসা থেকে ডেকে টঙ্গীর মুক্তারবাড়ী এলাকায় নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে দূর্বৃত্তরা। ২০১৭ইং সালের ১৩ই অক্টোবর রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার দিন টঙ্গী মডেল থানার এস আই আশরাফুল ইসলাম ঘটনা¯’লে যান এবং আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান পরিচালনা করেন। এঘটনার দিন সৈকতকে টেকবাড়ী এলাকা থেকে মোটরসাইকেল যোগে মুক্তারবাড়ীতে হত্যার উদ্দেশ্যে নিয়ে যায় নাহিদসহ অজ্ঞাত একজন। সৈকত মারা যাওয়ার খবর শুনে এস আই আশরাফুল ও সৈকতের মামা শেখ রাজীব হাসান নাহিদের মুঠোফোনে কল দিলে নাহিদ হত্যার সময় তার উপ¯ি’তিসহ ঘটনার সঙ্গে জড়িত রিয়াজ আহমেদ আকাশ, ডিস সুমন, পুড়ি মাসুদ, বুক কাটা বাবুসহ অনেকের নাম প্রকাশ করে। এছাড়াও সৈকতের বন্ধু মহন মোবাইল ফোনে কল দিলে সৈকতের মোবাইলটি রিসিভ করে রিয়াজ আহমেদ আকাশ। এসময় সৈকত কোথায় জিজ্ঞেস করলে আকাশ মহনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বলে আমি কোন সৈকতকে চিনি না। এছাড়াও এসময় আকাশ ও মহনের মধ্যে যে বাক তর্ক হয় তাতে আকাশের হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যায়। সৈকতের বন্ধু মোহন সেই বাক তর্কের রেকর্ডটি এসআই আশরাফুলকে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। পরদিন ১৪ই অক্টোবর শনিবার বিকাল ৫ ঘটিকার সময় গাজীপুরের শহীদ তাজ উদ্দীন আহমেদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে ময়নাতদন্ত শেষে তার মরদেহ তার মরদেহ তার নানুবাড়ি উত্তর দত্তপাড়া টেকবাড়ীতে নিয়ে আশা হয়। এ সময় ¯’ানীয় লোকজন ও আত্মীয় স্বজনের আহাযারীতে ভরে উঠে চারপাশ। হত্যাকান্ডের ৩বছরে মামলাটি থানা পুলিশ ও পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেষ্টিকেশন (পিবিআই) এর তদন্তে গিয়ে মামলার আলামত ও তথ্য প্রমানাদি সবই বিলীন হয়ে যাচ্ছে। যেখানে আসামীদের অনেকে জড়িত থাকার কথা ঘটনার সময়েই স্বীকার করেছিলো সেখান থেকে আজ তারা আজ বীর দর্পে ঘরে বেড়াচ্ছে, নিজেদের মুক্ত ভেবে সৈকতের পরিবারের লোকজনদের প্রাণনাশসহ বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিচ্ছে। এই হত্যার রহস্য উতঘাটন করে আসামীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও নিজেদের নিরাপত্তা চেয়ে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছে নিহতের পরিবার।
এঘটনায় নিহত সৈকত হোসেনের বাবা বাদী হয়ে ১০জনকে আসামী করে টঙ্গী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করলেও আসামিরা ফেইজবুক সহ বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে কাউকে তোয়াক্কা না করে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দি”েছ, ঘুরে বেড়াচ্ছে নিজ এলাকায়।
টঙ্গী মডেল থানা। মামলা নংঃ ৩৪ জি আর নংঃ ৬৭৯/১৭।